ঋদ্ধি চৌধুরী,
সিউড়ি কাটোয়া রাজ্য সড়কের লাভপুরের লাঘাটাই দীর্ঘদিন আগে কুয়ো নদীর উপর পুরানো ব্রিজ থাকাই প্রত্যেক বছর বন্যায় সেই ব্রিজ জলের তলায় ডুবে যায়। বন্ধ হয়ে যায় সিউড়ি কাটোয়া রাজ্য সড়কে যানবাহন চলাচল। অসুবিধার মধ্যে পড়তো সকল ধরণের মানুষরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে পাশে নতুন ব্রিজ তৈরির করা হচ্ছে এ কুয়ো নদীর উপরে। বেশ কয়েক বছর ধরে চলছে ব্রিজের কাজ পুজোর আগেই ব্রিজ চালু হবে বলে জানা যাচ্ছে।
লাভপুরের লাঘাটা বাসস্ট্যান্ডের কাছে বেশ কয়েকটি সরকারি জায়গার ওপর দোকান ছিল, এই ব্রিজের কাজ শেষের দিকে তাই এই ব্রিজ কে সম্পূর্ণ করার জন্য বেশ কয়েকটি দোকান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বেশ কয়েকমাস ধরে নোটিশ দেওয়ার পর মঙ্গলবার সকাল থেকে সেই দোকানপাট গুলোকে বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে। যদিও এইসব ব্যবসায়ীদের সরকারের তরফ থেকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছেন, এই দোকানপাট গুলোকে ভেঙ্গে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। এই দোকানের জায়গা অনুযায়ী অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত করা হবে সরকারের তরফ থেকে, সেই জায়গা ৩ গুণ বেশি দেওয়া হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। যদিও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ আমাদের পাট্টা দেওয়া হয়েছে কিন্তু এখনো রেকর্ড করে দেয়নি।
লাভপুর ব্লকের বিডিও সঙ্খ দাস জানান :- এখানে ৭ জনের মতো পাট্টা হোল্ডার ছিল পরবর্তীকালে আমরা দেখলাম পাট্টা হোল্ডারের নেই। যথাযথ আমরা এনার্মেলট করেছি যদিও পাট্টা ট্রানস্ফার হয় না তার সত্বেও আমরা এনার্মেলট করে ওদেরকে অন্য জায়গায় জমি দিয়ে পাট্টা দেওয়া হয়েছে। যে পরিমাণ জায়গা ছিল তাদেরকে তিনগুণ বেশি তাদেরকে অন্য জায়গায় পাট্টা দেওয়া হয়েছে।
লাভপুর ব্লক পঞ্চায়ত সমিতির সহ সভাপতি শোভন চৌধুরী বলেন:- আমরা অলরেডি সমস্ত দোকানদারদের পাট্টা দিয়ে দিয়েছি ও তাদের জায়গার রেকর্ড ও করে দেওয়া হবে। আমরা এই সপ্তাহের মধ্যেই রেকর্ড করে তাদের হাতে দিয়ে দেবো। দোকান করে দেওয়ার কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই এগুলো সব সরকারি জায়গা এই জায়গার পরিবর্তে আমরা তাদের ৩ গুন জায়গা মেন রাস্তার উপরে জায়গা দিয়ে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
স্টেশনারি দোকানদার সোমনাথ সেন বলেন:- আমজমা এখানে ৪৫ বছর ধরে ব্যবসা করছি সরকার নোটিশ দিয়ে সব ভেঙ্গে দিয়েছে দোকান-পাট। যদিও সরকার শুধু আশ্বাস দিয়ে গেছেন কোন জায়গা ও কাগজপত্র আমাদের কাছে এসে পৌঁছানি। এই দু বছর ধরে লকডাউন চলছে এতেই আমাদের কিভাবে সংসার চলবে আমরা নিজেরাই ভাবতে পারছিনা।
সৌভিক সাহা মিষ্টির দোকানদার বলেন:- ৫০ বছর ধরে এখানে ব্যবসা করছে আমাদের জায়গার সমস্ত কাগজপত্র রেডি আমরা প্রশাসনের কাছে জমা দিয়েছিলাম আমাদেরকে এখন শুধু পাট্টা দেওয়া হয়েছে কোন রেকর্ড দেওয়া হয়নি এখন আমরা অসহায়ের মতো আছি। আমরা প্রতিবছর ঠিকঠাকমতো টেক্স জমা করি।